1. admin@rajshahitribune24.com : admin :
  2. rajshahitribune192@gmail.com : editor man : editor man
কাঁচা মরিচের গুঁড়া রাখা যাবে দুই বছর - Rajshahi Tribune24 | রাজশাহী ট্রিবিউন২৪
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কাঁচা মরিচের গুঁড়া রাখা যাবে দুই বছর

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১১৯ বার পঠিত

তানোরবার্তা ডেস্ক : দেশজুড়ে যখন কাঁচা মরিচের বাজার চড়া, এ সময় সুখবর নিয়ে এলো বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্র। কাঁচা মরিচের এমন গুঁড়া উদ্ভাবন করেছে তারা, যা ঘরে রেখে খাওয়া যাবে দুই বছর। স্বাদ আর গুণমানও থাকবে অটুট।

ওই গবেষণাকেন্দ্র বলছে, বাজারে যখন কাঁচা মরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে, দামও থাকবে নাগালে, সে সময় প্রয়োজনমতো কাঁচা মরিচ কিনে গুঁড়া করে রাখলে তা দীর্ঘ সময় ধরে চাহিদা মেটাবে।

কাঁচা মরিচের গুঁড়া তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বগুড়া মসলা গবেষণাকেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানী মাসুদ আলম।

প্রাথমিকভাবে তাঁর উদ্ভাবিত এই গুঁড়া পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এর গুণ ও মান শতভাগ ঠিক থাকছে। কাঁচা মরিচের এই গুঁড়া এখন বাজারজাত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানান এই বিজ্ঞানী।

মাসুদ আলমের দেওয়া তথ্য মতে, দেশে বছরে কাঁচা মরিচের চাহিদা রয়েছে প্রায় দুই লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় প্রায় এক লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। দেশে কাঁচা মরিচের যে পরিমাণ উৎপাদন হয়, এর মধ্যে বাজারতাজকরণ প্রক্রিয়ার কারণে অনেক মরিচ পচে নষ্ট হয়ে যায়। এই ঘাটতি পূরণও আমদানি অংশে যোগ হয়।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ পর্যাপ্ত, কিন্তু ক্রেতা নেই। এতে উৎপাদনকারী কৃষক কাঙ্ক্ষিত দাম পান না।

বিষয়টি নজরে আসায় চার বছর আগে এই কৃষিবিজ্ঞানী কাঁচা মরিচ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন। প্রথম দিকে গবেষণা বেশ এগোলেও স্থায়িত্ব ও গুণগত মান ঠিক ছিল না। পরে এ নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করে সাফল্য অর্জন করেন। এখন তাঁর মরিচের গুঁড়ার স্বাদ, গন্ধ, রং ও স্থায়িত্ব সবই প্রত্যাশিত মাত্রায় এসেছে।

তিনি বলেছেন, কাঁচা মরিচ গুঁড়া করে রাখলে উৎপাদিত মরিচ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাবে। এই গুঁড়া ভালোভাবে সংরক্ষণ করা গেলে এর গুণমান অটুট থাকবে দুই বছর। এক কেজি কাঁচা মরিচ শুকিয়ে গুঁড়া করলে পাওয়া যায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। পাঁচজনের একটি পরিবারের রান্নায় এক চা চামচ পরিমাণ গুঁড়া ব্যবহারে রান্নার কাজ হয়ে যাবে।

মাসুদ আলমের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মরিচের গুঁড়া এখন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কাঁচা মরিচের চেয়ে এই গুঁড়া সাশ্রয়ী ও সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন। এতে কাঁচা মরিচ আমদানির ওপর চাপ কমবে। একই সঙ্গে বাজারও যেমন স্থিতিশীল হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রারও সাশ্রয় হবে।

এই কৃষিবিজ্ঞানী জানান, কাঁচা মরিচের গুঁড়া করতে গেলে আগে সূর্যের তাপে মরিচ ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। ঠিকমতো শুকানো না হলে দীর্ঘদিন তা সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। কাঁচা মরিচ শুকানোটাই এই প্রক্রিয়ার মূল কাজ। এরপর তা গুঁড়া করে সংরক্ষণ করা যাবে। আবার শুকানো অবস্থায় রেখে রান্নার সময় গুঁড়া করে নিলেও চলবে। সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বায়ু নিরোধক পাত্র বা পলিব্যাগে করে তা রাখতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত বাড়িতে মুড়ি যে প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়, সেভাবে এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব। ’

মাসুদ আলম বলেন, ‘যে কেউ ঘরে বসে কাঁচা মরিচের পাউডার তৈরি করতে পারবেন। এ জন্য কারো কাছে ধরনা দেওয়ার দরকার নেই। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি চাইলে এক থেকে দুই বছর বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট বা চড়া দামের বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। উদ্যোক্তারা কাঁচা মরিচের গুঁড়ার বাজার তৈরি করলে আয়ের নতুন পথও খুলবে। ’

বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ‘দেশে সব ধরনের মসলায় আমরা আমদানিনির্ভর। কাঁচা মরিচের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে উৎপাদন কমে যায়। এতে বাজারে দাম বাড়ে। সে ক্ষেত্রে মাসুদ আলম কাঁচা মরিচের গুঁড়ার যে পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, তা অনুসরণ করে সংকটকালীন চাহিদা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। ’

 

সূত্র : কালের কন্ঠ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2022 রাজশাহী ট্রিবিউন ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!