নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : সদ্য সমাপ্ত হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৪ তম হয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন রাজশাহীর তানোর পৌরশহরের আর্দশ গুচ্ছগ্রামের শফিকুলের ছেলে আল আমিন। কিন্তু অর্থাভাবে মেধাবী আল আমিনের ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না এমন খবর পেয়ে ভর্তির জন্য তাঁকে নগদ পাঁচ হাজার টাকার অর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আল আমিনের হাতে সহায়তা হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন ইউএনও। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন। আল আমিন ২০১৯ সালে কালিগঞ্জ হাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। ২০২১ সালে কালিগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও জিপিএ-৫ পান তিনি। এরপর তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ‘এ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় তাঁর মেধাক্রম ৫৪। আল আমিন বলেন, ‘বসতঘর ছাড়া আমাদের কোনো সম্পদ নেই। বাবা দিনমজুরের কাজ করে যা পান, তা দিয়ে সংসারের খরচ চলে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভর্তির টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ভর্তির টাকা সহায়তা দিয়েছেন। এ জন্য তানোর উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’ ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না আলামিন। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর তাকে ডেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তি বাবদ ৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply