নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দিনরাত কাজ করেছেন কামরুজ্জামান মিয়া। সন্ত্রাস, চোর আর মাদক নিমূলের পাশাপাশি থানা এলাকা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত। ইতোমধ্যে কর্মদক্ষ ওসি তার কাজ দিয়ে বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছেন। প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে।
এলাকাবাসী বলছেন, তানোর থানায় যোগ দিয়ে তিনি বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশ করে বলেছিলেন, থানায় যে কোন কাজে গেলে আপনারা কেউ কাউকে কোন প্রকার টাকা পয়সা দিবেন না। তার দেয়া সেই ঘোষণার প্রতিফলন বাস্তবে রুপ নিয়েছে।
অপরদিকে, দীর্ঘদিনের পলাতক অপরাধীরা একে একে গ্রেপ্তার হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এক ধরনের পজেটিভ ধারনার পাশাপাশি জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
এলাকাবাসী বলছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পরিশ্রম করে যাচ্ছে তানোর থানা পুলিশ। একই সাথে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড দমনে জনসচেতনার পাশাপাশি রাত-দিন বিভিন্ন স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করায় অনেকাংশে কমে গেছে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী বলেন, থানায় অভিযোগের সাথে টাকা না দিলে পুলিশ তদন্ত করতে যায় না এবং কাজও হতো না আমরা এটাই ভেবে টাকা দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ কোন টাকা নেয়নি এবং নিচ্ছেনা। তবে, তাদের অভিযোগগুলো পুলিশ যথা সময়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, তিনি তানোরে এসেই সমস্যার মূলে হাত দেন। এক্ষেত্রে রাজশাহী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নির্দেশনা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তার দিকনির্দেশনাগুলো যথাযথ মেনে চলার চেষ্টা করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এতে করে অপরাধমূলক কাজ কমে গেছে। এবারের ঈদেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চুরি বন্ধ করতে পেরেছেন। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।
সেবা প্রার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।#
Leave a Reply