রাজশাহী ট্রিবিউন২৪: কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। সোমবার রাশিয়া জাতিসংঘকে জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তিটি আর নবায়ন করবে না। এতে বড় শঙ্কার মধ্যে পড়তে পারে বাংলাদেশের খাদ্য ও সার সরবরাহ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিটির আগ পর্যন্ত কৃষ্ণসাগর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ ছিল। এতে বাংলাদেশেও খাদ্য, সার আমদানিতে তৈরি হয় সংকট। চুক্তি নবায়ন না হলে ফের একই ধরনের অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আমদানিকারকদের।
আমদানিকারকরা বলছেন, এ চুক্তি নবায়ন না হওয়ায় গম, ভুট্টা, সয়াবিন, বার্লি, সূর্যমুখী তেলের পাশাপাশি সার আমদানি ব্যাহত হবে। সবচেয়ে সমস্যা হবে গম ও সার আমদানিতে। দেশে গমের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। সার আমদানির বড় অংশ রাশিয়া, ইউক্রেনসহ বেলারুশনির্ভর।সোমবার (১৭ জুলাই) চুক্তি স্থগিতের পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম টনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ ডলার বেড়েছে বলে জানা যায়। একদিনের ব্যবধানে প্রতি টন গমের দাম ২৫০ ডলার থেকে বেড়ে ২৬০-২৬৫ ডলারে উঠেছে।
এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশে গম আমদানি কমেছে। বেশি দামের কারণে ক্রেতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকট ও এলসি খোলা এবং নিষ্পত্তির সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গমের আমদানি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার টনে। আগের বছর তা ছিল ৪০ লাখ ১২ হাজার টন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর এমওপি সারের চাহিদা প্রায় আট লাখ টন। যার প্রায় ৬০ শতাংশ আমদানি হতো রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশ থেকে। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে এ দুটি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে প্রয়োজনীয় সার আমদানিতে তৎপর হয় বাংলাদেশ। তবে আমদানি সংকটের কারণে দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করে সরকার।
এ চুক্তি হওয়ার পরে আবারো রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে সার আমদানি শুরু হয়েছিল। তবে এ চুক্তি বাতিলে এখন কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে কৃষি মন্ত্রলাণয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং উপ-প্রধান (কৃষি অর্থনীতিবিদ) শেখ বদিউল আলম বলেন, নতুন করে ইউক্রেন থেকে এমওপি নেওয়ার কোনো চুক্তি নেই। কানাডা থেকে আট লাখ টন সার নেওয়ার চুক্তি হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে এ সারের কোনো ঘাটতি হবে না।
তথ্য সূত্র: জাগো নিউজ
Leave a Reply