1. admin@rajshahitribune24.com : admin :
  2. rajshahitribune192@gmail.com : editor man : editor man
কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলছে না, খরায় কৃষকের পুড়ছে কপাল - Rajshahi Tribune24 | রাজশাহী ট্রিবিউন২৪
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলছে না, খরায় কৃষকের পুড়ছে কপাল

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৭ বার পঠিত

নিজেস্ব প্রতিনিধি:বর্ষার ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। শ্যালো মেশিন চালিয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চারা লাগাচ্ছেন কৃষকরা। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। সেইসঙ্গে আমন চাষাবাদ নিয়ে নানামুখী শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ চিত্র বগুড়াসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায় এখন। স্বাভাবিক কারণেই বোরোতে লোকসানের পর এবার আমনেও লোকসানে পড়তে যাচ্ছে কৃষক।

এমন পরিস্থিতিতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদনে ব্যয় কেমন হতে পারে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলার সাধুবাড়ী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী ও মাহবুবুর রহমান জানান, জমি প্রস্তুতির জন্য হালচাষ বাবদ স্বাভাবিক সময় ব্যয় হয় ২০০০ টাকা। এখন বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমি প্রস্তুত করতে হালচাষ বাবদ অতিরিক্ত ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আমন চাষে কোনো সেচ খরচ করতে হয় না। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এবার বোরো মৌসুমের মতোই সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এতে সেচ বাবদ ২০০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার প্রতি বিঘা জমিতে আমন চাষে বাড়তি ২৫০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।বিঘাপ্রতি জমি রোপণের খরচের বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, জমি চাষকালে টিএসপি ১০ কেজি ৩০০ টাকা, এমওপি (পটাশ) ১০ কেজি ৩০০ টাকা, ইউরিয়া ৫ কেজি ১৫০ টাকা, জিপসাম ১০ কেজি ১৫০ টাকা, দস্তা ১ কেজি ২০০ টাকা, সালফার ৩ কেজি ১২০ টাকা ও ম্যাগনেশিয়াম সার ২ কেজি ৮০ টাকা খরচ করে জমিতে ছিটাতে হচ্ছে। এরপর জমির আইল কাটা বাবদ শ্রমিক ব্যয় ২০০ টাকা, ধানের চারা রোপণ বাবদ ১২০০, আগাছা প্রতিরোধে কিটনাশক ও ইউরিয়া ৫ কেজি বাবদ ১৫০, জমি নিড়ানী বাবদ শ্রমিকের ৫০০ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হবে।

এছাড়া গাছ বাড়ন্ত হলে দ্বিতীয় দফায় আবার ইউরিয়া সার ১০ কেজি ৩০০ টাকা, এমওপি (পটাশ) ৫ কেজি ১৫০ ও ড্যাপ সার ৫ কেজি ১২০, প্রয়োজন অনুযায়ী কিটনাশক ব্যয় ১৫০০, ধান কাটা ও মাড়াই করা বাবদ ৪০০০ এবং বীজ ও বীজতলা তৈরি বাবদ ১০০০ টাকা ব্যয় করতে হবে কৃষককে। যেসব কৃষকের নিজের জমি নেই তাদের (বর্গাচাষি) জন্য অতিরিক্ত আরও ৭০০০ টাকা জমি লিজ নেওয়া বাবদ ব্যয় করতে হবে। সব মিলিয়ে আমন মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। লোকসান গুনতে হবে চাষিদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2022 রাজশাহী ট্রিবিউন ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!