বাউফল (প্রতিনিধি) :পটুয়াখালীর বাউফলে নবারুন সারর্ভে কলেজের চতুর্থ বছরের ছাত্র হৃদয় কবিরাজ (২২) নিখোজ হওয়ার ১৭দিন পরে হৃদয় কবিরাজের লাশ ও ব্যবহারিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত দেরটার দিকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মোঃ জাফর খানের স্বীকারোক্তি ও লাশ ফেলে রাখার স্থান নির্ধারনের মাধ্যমে লাশ ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে বাউফল থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক জাফর জানিয়েছেন প্রেমিকা সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিশোধ নিতে হৃদয় কবিরাজকে হত্যা করা হয়েছে। বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের (৩নং ওয়ার্ড) মোঃ হাসেম খানের ছেলে জাফর খান (২৪)।থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাগেছে,পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের (১নং ওয়ার্ড) হরি কবিরাজের ছেলে বাউফল নবারুন সারর্ভে কলেজের চতুর্থ বছরের ছাত্র হৃদয় কবিরাজ গত ১১ জুলাই রাত ১১টার দিকে এক বড় ভাইয়ের ফোন পেয়ে ঘর থেকে বের হলে আর বাড়ী ফিরেনি।
এ ঘটনায় হৃদয় কবিরাজের বাবা হরি কবিরাজ ১৩ জুলাই নিখোঁজের ঘটনা তুলে ধরে বাউফল থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। পুলিশ নিখোজ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘাতক জাফর নিজেকে নিরপরাধ প্রমান করে ছাড়া পেয়ে যায়।পরে হৃদয় নিখোজ ঘটনার সাথে ঘাতক জাফরই জড়ীত এমন তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে পুলিশ পুনরায় জাফরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রেমিকা সংক্রান্ত বিরোধের প্রতিশোধ নিতে তাকে (হৃদয়কে) খুন করা হয়েছে বলে পুলিশে কাছে স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত দেরটার দিকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মোঃ জাফর খানের স্বীকারোক্তি ও লাশ ফেলে রাখার স্থান নির্ধারনের মাধ্যমে লাশ ও নিহত হৃদয় কবিরাজের ব্যবহারিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে বাউফল থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়ীত জাফর খারেন স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিখোজ হৃদয় কবিরাজের লাশ ও তার ব্যবহারিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো জড়ীত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply