আবির হোসেন সজল, লালমনিরহাট : লালমনিরহাট ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে হাসপাতালটির অনভিজ্ঞ নার্সদের খারাপ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে সিভিল সার্জন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার তালুক হারাটি ইউনিয়নের হাজের আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩০) গত ২৮ জুলাই তার পিতা হাজের আলীর সোডিয়ামের অভাব দেখা দেওয়ায় তাকে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সাথে পরামর্শ ক্রমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। যাহার ভর্তি রেজি: নং-৯৯১/৪৬, বেড নং-সি/১ মেডিসিন বিভাগ। রোগী ভর্তি করার পর ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রোগীর শরীরে সোডিয়াম ও নরমাল স্যালাইন পুশ করা হয়। কিন্তু স্যালাইন হাতের রগে পুশ না করে ভুল বসত ও অনভিজ্ঞ থাকায় নার্সরা মাংসে পুশ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এর ফলে রোগী হাজের আলীর হাত অনেকটা ফুলে যায় এবং হাতে ইনফেকশন হয়। অবশেষে রোগী হাজের আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম দায়িত্বে থাকা ডাক্তার ও নার্সদের বিষয়টি জানালে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। কর্ণপাত না করায় রোগী হাজের আলীর হাতের অবস্থা বেগতিকভাবে ফুলে যায় এবং আরও গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে যায়।
এই অবস্থা দেখে আসাদুল ইসলাম তার পিতা হাজের আলীকে রিলিজ অডার করে উন্নত চিকিৎসা করাতে গত ২ আগস্টে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করাতে না পেরে অবশেষে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল হাসপাতালে রোগী হাজের আলীকে ভর্তি করান।
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল ও হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ বলেন, রোগী হাজের আলীকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া ও ভুল জায়গায় স্যালাইন পুশ করার কারণে রোগীর হাতে ইনফেকশন হয়েছে। এখন অপারেশন করে তার চিকিৎসা করাতে হবে বলেও অভিযোগে একথা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে রোগী হাজের আলীর ছেলে অভিযোগকারী আসাদুল ইসলাম বলেন, আমার বাবাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার আগে আমি কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের সাথে পরামর্শ করেছি। তারা আমার বাবাকে ভুল চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণে আমার অহেতুক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং তাদের সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কে দিয়েছি বিষয়টা ওনি দেখবে।
সদর হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. রমজান আলী এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টা আমি গুরুত্ব সহকারে দেখবো এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন