মৌসুমী দাস, বাঘা, রাজশাহীঃ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গায়ে হুলুদ, শুক্রবার বিয়ে সব আয়োজনকে পেছনে ফেলে আনন্দের পরিবর্তে বর-কনের বাড়িতে বেজে উঠলো বিষদের সুর নিমিষেই চুরমার হয়ে গেল সবকিছু। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঘা-চারঘাট মহাসড়কের বিনোদপুর সাজির বটতলা নামক এলাকায় ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হবু বর জুয়েল রানা (২৪)। জুয়েল রানা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর বান্দা বটতলা গ্রামের মোস্তফা আলী ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পাশ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের নছির উদ্দীনের মেয়ের সাথে বিয়ের দিন ধার্য ছিল জুয়েল রানার। বৃহস্পতিবার ছিল গায়ে হুলুদ, উভয়ের বাড়িতে চলছিলো নানান প্রস্তুতি, এদিন মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারে চুল সাটাতে গিয়েছিল জুয়েল রানা সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হন জুয়েল রানা, আনন্দের পরিবর্তে বর-কনের বাড়িতে বেজে উঠে বিষাদের সুর ।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল চালিয়ে বিনোদপুর সাজির বটতলা এলাকায় অপর দিক থেকে আসা ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মোটরসাইকেল চালক জুয়েল । গুরুতর আহত হয় তার পেছনে থাকা বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়াও আহত হয়েছে বানিয়াপাড়া গ্রামের ভটভটি চালক মনির ও দক্ষিন মিলিক বাঘা গ্রামের লেবার নাসির উদ্দিন। তারা ভটভটিতে ভাঙরি মালামাল নিয়ে সারদা বাজার থেকে বাঘায় আসছিল।
বাকরুদ্ধ মৃত জুয়েল এর পিতা মোস্তফা আলী ও তার মা সহ পুরো পরিবার, বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে মরদেহ কবরে দাফন করতে হবে এ যেন মানতেই পারছেন তারা। স্থানীয় তজলু হোসেন নামের একজন জানান,এক ঘটনায় দুই বাড়িতে কান্নার রোল।বাঘা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বর থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, কারও কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন