1. admin@rajshahitribune24.com : admin :
  2. rajshahitribune192@gmail.com : editor man : editor man
হারুন-সানজিদা-মামুনসহ ‘ফেঁসে যাচ্ছেন’ সবাই - Rajshahi Tribune24 | রাজশাহী ট্রিবিউন২৪
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

হারুন-সানজিদা-মামুনসহ ‘ফেঁসে যাচ্ছেন’ সবাই

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ বার পঠিত

রাজশাহী ট্রিবিউন২৪ ডেস্ক :রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে রেখে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্তে সেদিনের ঘটনায় তার দায় খুঁজে পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

 

পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিন, রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক ও ছাত্রলীগের নেতারাও দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। থানায় মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনসহ শাস্তি হতে পারে ৫ পুলিশ সদস্যেরও। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেসন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যার যতটুকু দায় তার সেই পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হাসপাতাল থেকে নেওয়ার পর শাহবাগ থানার ওসির কক্ষে আটকে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করে পুলিশ। এডিসি হারুনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে সিভিয়ার পেইনে (তীব্র ব্যথায়) ভুগছিলেন তিনি। এজন্য তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এডিসি হারুনকে চিকিৎসকের সিরিয়াল নিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। বারডেম হাসপাতালটি ওই এলাকায় হওয়ায় এডিসি হারুন রমনা থানার ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল নেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসক না পেয়ে তিনি এডিসি হারুনকে হাসপাতালে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে তার স্বামী (মামুন) গিয়ে হারুনকে মারধর করেন। ওই সময় মামুনের সঙ্গে আসা আরও দুজন হামলায় অংশ নেন এবং ঘটনার ভিডিও করতে থাকেন। তখন তিনি ইটিটি কক্ষে ছিলেন।

 

অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনার পর এডিসি হারুন ফোর্স নিয়ে মামুন, ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকেও থানায় ডেকে নেন।

এরপর ওই দুই ছাত্রনেতার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনা জানাজানি হলে পরের দিন এডিসি হারুনকে প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ও পরে এপিবিএনে বদলি করা হয়। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তাকে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়।

সূত্র : জাগো নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2022 রাজশাহী ট্রিবিউন ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!