রাজশাহী প্রতিনিধি: আগামী ২৬সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এরইমধ্যে এই সম্মেলনকে ঘিরে এখন উজ্জীবিত রাজশাহী মহানগর যুবলীগের নেতা কর্মীরা।
ফলে ঝিমিয়ে পড়া নগর যুবলীগে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় পদ প্রত্যাশিরাও হয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীমুখী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পদ প্রত্যাশিরা ছুটছেন সাংগঠনিক ওর্য়াডে ওর্য়াডে। তবে এবারে নেতৃত্বে বছাইয়ে তৃণমূলের কর্মীরা চাচ্ছেন ক্লিনিন ইমেজের নেতৃত্ব। সেই জায়গা থেকে এবার সভাপতি পদে তৌরিদ আল মাসুদ রনি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মুকুল শেখকে দেখতে চান নেতাকর্মীরা।
কারণ অতীতে যে কোন সময়ে কর্মীদের সংকটময় সময়ে পাশে ছিলেন রনি- মুকুল। তাই এই দুই নেতাকে মূল নেতৃত্বে দেখতে চাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। অবশ্যই রনি এবং মুকুল চলতি কমিটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে ৩৭ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে নেতাদের সাথে রয়েছে সু সর্ম্পক ।
জানা গেছে , ২০১৬ সালে হয়েছিল রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন। সেবার মহানগরের কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন রমজান আলী ও মোশাররফ হোসেন বাচ্চু।
এর আগে পরে মিলিয়ে টানা ১৮টি বছর নতুন নেতৃত্ব নেই সংগঠনটিতে। এতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে তাদের কার্যক্রম। তৃণমূলেও আছে নানা অস্বস্তি। সাংগঠনিক থানা-ওয়ার্ড কমিটিগুলোর দশাও এখন শোচনীয়। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বাড়তে থাকে
এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের নেতারা। তাদের দাবি, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা। এরমধ্যে দিয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে ফের লাইমলাইটে নিয়ে আসার দাবিও করেন তারা।
জানা গেছে, এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। বরাবরই তিনি
তিনি সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
এরইমধ্যে এই যুবলীগ নেতা অনেক যুবলীগের নেতা কর্মীদের চাকুরি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় অনন্য প্রার্থীদের অতীত নিয়ে অভিযোগ থাকলেও রনি এখনও ক্লিন ইমেজে রয়েছেন। ফলে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে তৌরিদ আল মাসুদ রনি।
এদিকে, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মুকুল শেখ রাজনৈতিক সকল কর্মকান্ডে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছেন। তিনি তৃণমূল নেতাদের উজ্জীবিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও
গত রাসিক নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। যার কারণে তিনি মেয়রের একজন বিশ^স্ত কর্মী হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন। এসব কর্মকান্ডের জন্য রাজশাহী মহানগর যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা এবার মুকুল শেখকে সমর্থনের পাশাপাশি তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান। ফলে রনি ও মুকুলের বিকল্প দেখচ্ছেন না তৃণমূলের নেতকর্মীরা।
মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, বিতর্কিত ব্যক্তিকে এবার যুবলীগের নেতৃত্বে দেখতে চান না। তাদের প্রত্যাশা কর্মীবান্ধব স্মার্ট যুবনেতা। তারা মনে করেন, রাজশাহীতে দলের অবস্থা ধরে রাখতে যারা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ‘ভ্যানগার্ড’ হিসেবে কাজ করছেন তারাই যুবলীগের নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসবেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, আমি তৃণমূল থেকে আজ মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে আছি। এবার মহানগর যুবলীগে যদি সঠিক নেতৃত্ব আসে, তাহলে এই যুবলীগ আরো শক্তিশালি হবে। অনেক গতিশীল হবে সংগঠন। আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলে আমি রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে একটি আইডল সংগঠন হিসাবে রুপান্তরিত করবো।
মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মুকুল শেখ বলেন, যুবলীগ আমার প্রাণের সংগঠন। আমি সেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী, আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলে রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে মডেল ও স্বর্নিভর যুবলীগ করতে চাই। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগকে সুশৃংখল ও দায়িত্বশীল সংগঠন করতে চাই।
Leave a Reply