রাজশাহী ট্রিবিউন২৪ ডেস্ক:পৃথিবী থেকে সবরকম জটিল অসুখ মুছে দিতে চান মার্ক জাকারবার্গ। এই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন ফেসবুক কর্তা ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান। ২১০০ সালের মধ্যে ‘রোগমুক্ত পৃথিবী’ গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে জুকারবার্গের সংস্থা চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ (সিজেডআই)।
মাত্র ৭৭ বছর পরেই যুগান্তকারী ঘটনা ঘটবে এ বিশ্বে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ভ্যাপসা গরমে নিয়ম মেনে হাঁটুন ভ্যাপসা গরমে নিয়ম মেনে হাঁটুন
জাকারবার্গদের সংস্থা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, একটি কম্পিউটিং সিস্টেম গড়ে তুলতে চান তারা। তারা এমন একটি কম্পিউটিং সিস্টেম তৈরি করবেন যা পরিচালনা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই)। গবেষকরা সেই সিস্টেমের মাধ্যমে এআই ব্যবহার করে মানবদেহের কোষ বিশ্লেষণ করতে পারবেন। মানবশরীরের ঠিক কোন কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, সেই কোষ পুনরুজ্জীবিত করার উপায় কী, সেসবই খুঁজে বের করবে এআই। সেই তথ্যের মাধ্যমেই সম্ভব হবে যুগান্তকারী আবিষ্কার। জিনের বিন্যাস বের করে জটিল অসুখ সারানোর উপায় খুঁজবে এআই পরিচালিত কম্পিউটিং সিস্টেম। মানবদেহে বাসা বাধতে পারে, এমন যাবতীয় রোগ নিরাময়, প্রতিরোধ কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা, দাবি জাকারবার্গ দম্পতির।
জাকারবার্গ বলছেন, “চিকিৎসাশাস্ত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এআই। বিশেষ করে বায়োমেডিসিনের দুনিয়ায় একের পর এক চমৎকার করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একে ব্যবহার করে উচ্চ মানের একটি কম্পিউটিং সিস্টেম তৈরি করতে পারলে তা আগামী দিনে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন মাইলফলক হয়ে উঠবে। আমাদের দেহের কোষ কী ভাবে কাজ করে, তা নির্ণয় করা যাবে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে। জিনোম থেকে সমস্ত কোষের ধরন এবং কোষের অবস্থা সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারবে ওই ডিজিটাল মডেল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ড্রাগ মডিউলের এমন ডেটাবেস তৈরি হবে যেখান থেকে জটিল রোগ সারানোর ওষুধ তৈরি করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। আর এমন ওষুধ তৈরি হবে যার এক ডোজেই শরীরের যাবতীয় অসুখ ভালো হয়ে যাবে।
শীত আসছে, যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরিশীত আসছে, যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি
জটিল স্নায়ুরোগ নিয়ে শিশু জন্মালে তার চিকিৎসাও করতে পারবে এআই পরিচালিত কম্পিউটিং সিস্টেম। মেটা কর্তা বলছেন, কোনো নতুন ওষুধে রোগীর দেহে কী প্রতিক্রিয়া হবে, এআইয়ের মাধ্যমে আগে থেকেই তা জানা যাবে। অসুখ যতই বিরল হোক না কেন, তার চিকিৎসা পদ্ধতিও বের করা যাবে এই সিস্টেমে। এমনভাবেই আরও কয়েক বছরের মধ্যেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি হবে।
সূত্র:ইত্তেফাক
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন