রাজশাহী ট্রিবিউন২৪ ডেস্কঃ যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করার কোনো ইচ্ছে ইসরায়েলের নেই, তবে এই উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে উচ্ছেদ করতে ‘যা যা করা প্রয়োজন’, তার সবই করতে প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জাতিসংঘের ইসরায়েলি দূত গিলাদ এরদান।
রোববার সিএনএনের সাংবাদিক কেইটল্যান কলিন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরদান বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ড দখল কিংবা সেখানে থেকে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে বা আগ্রহ আমাদের নেই। তবে যেহেতু আমরা এখন টিকে থাকার লড়াই করছি এবং এ লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার একমাত্র উপায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই উল্লেখ করেছেন।’সেই উপায় হলো হামাসকে চিরতরে নির্মূল করা। তাই এই গোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই আমরা করতে প্রস্তুত।’
এখানে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেরজগও এ বিষয়ে ধাঁচের মন্তব্য করেছেন। এ দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের অনুষ্ঠান সিক্সটি মিনিটসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইডেন। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদি ইসরায়েল গাজা দখল করার পরিকল্পনা নিয়ে থাকে, তাহলে সেটি হবে তাদের জন্য বড় ভুল।’একই দিন সিএনএনকে মাইকেল হেরজগ জানিয়েছেন, ‘গাজা দখল বা পুনর্দখল করার কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। সেখানে বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে শাসন বা তাদের জীবন-যাপন নিয়ন্ত্রণ করার কোনো অভিপ্রায়ও আমাদের নেই।
প্রায় দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়ার পর গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস এবং সূর্যের আলো ফোটার আগেই ইসরায়েলের দক্ষিণাংশের সীমান্ত বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ওই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা।
হামাসের হামলায় প্রথম দিনই ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন কয়েকশ ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। এছাড়াও দেড় শতাধিক মানুষকে এদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গেছে হামাস। এই জিম্মিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে— তা এখনও অজানা।এদিকে প্রাথমিক গোয়েন্দা তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে হামলার শুরুর দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত থাকলেও অল্প সময়ের মধ্যে তা কাটিয়ে পূর্ণ শক্তিতে যুদ্ধের ময়দানে নামে ইসরায়েল এবং প্রথম দিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, এই যুদ্ধ শুরুর দিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় উপত্যকায় অবরোধ আরোপ করেছে ইসরায়েল, সেই সঙ্গে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় আসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে লাখ লাখ মানুষ অধ্যুষিত এই উপত্যকায়।তবে, রোববারের সাক্ষাৎকারে গিলাদ এরদান দাবি করেছেন, গাজায় পানির সরবরাহ ফের চালু করা হয়েছে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট /এমড্বলিউ/ সিএনএন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন