পবা প্রতিবেদক :আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর ) সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেছেন, আমি পবা -মোহনপুরের মাটির সন্তান। আমি পাচঁ বছর এমপি ছিলাম। এই পবা-মোহনপুরে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কোনদিক কাউকে আমি কষ্ট দেই নাই। আমার ভূল ত্রুটি হতে পারে সেটি ক্ষমা করে দিবেন। আমি পবা-মোহনপুরের সন্তান হিসেবে বলতে চাই আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে আপনাদের পাশে ছিলাম আপনাদের পাশে থাকবো ঈনশাআল্লাহ। এইটুকু বলতে চাই আজকে হয়তবা আমি নৌকার টিকিট পাই নাই কিন্তু আমার চেম্বার ভাঙা হলো কেন? এই এয়ারপোর্টে এসে অনেকে খারাপ মন্তব্য দিয়েছে। আমি বলতে চাই ১৯৯০ সালে আমার পিতা-মাতা ঐ রাখাল স্যারের নির্বাচনে রোযা থেকে নৌকা তে ভোট দিতে গিয়েছিল। তারপরেও অনেকে কটুক্ত করে কথা বলেছে। আমি এমপি থাকাকালীন সময়ে কেউ বলতে পারবে না কোন দলকে কিংবা কাউকে আমি কটুক্ত করে কথা বলেছি। ২০১৪ সালে আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। শদ্ধেয় নেতা মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ভাই নির্বাচন করেছেন । আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে উনার বাসায় গিয়েছিলাম। আমার দলের কেউ তাকে কোন কটুক্ত করে নাই। কিন্তু আজকে অনেকেই করছে। কিন্তু কেন করছে ? করছে তার কারণ হলো আজকে পবা-মোহনপুরের মানুষ তার মাটির সন্তান কে হারিয়েছে। আজকে বহিরাগত বর্গিরা এসে আমার পবা-মোহনপুরের মাটি লুট করার জন্য আজকে অরাজগতা সৃষ্টি করছে।
বুধবার (২৯ ই নভেম্বর) দুপুরে শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে ফিরে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য এগুলো কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার জীবনের সবকিছু হারিয়ে যদি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে বুকে টেনে নিয়ে নিজের পরিবার ভেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে পারে । আমি তার একজন কর্মী হিসেবে তার দিক নির্দেশনার বাইরে কিন্তু আমি নাই। আজকে সারা বাংলাদেশে দলের পক্ষ থেকেই প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে কারণ অন্যান্য দল নির্বাচনে আসবে না। আমি আপনাদের কাছে বলি আমি নির্বাচন করবো কি করবো না, আমার নেতাকর্মীরা যেটি বলবে আমি সেই পথেই ধাপ দিব ঈনশাআল্লাহ। আমি প্রত্যেকটা ইউনিয়নে নেতৃবৃন্দ আছে সবার সাথে কথা বলবো। আমি আপনাদের সাথে আছি আপনাদের সাথেই থাকবো। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করি, আজকে থেকে শুরু করে ১৮ ই তারিখ প্রতিক উইথড্র করার ডেট । এর মধ্যে যদি বিএনপি বা অন্যান্য দল নির্বাচনে আসে তখন আমার পবা-মোহনপুরে আয়েন উদ্দিন অপরিহার্য হবে। আজকের এই প্রেক্ষাপটে আমি শুধু ফরম টি তুলে রাখলাম । প্রিয় নেত্রী তার নির্দেশ আদেশ পালন করে সামনে যাবো। উনার যেই নির্দেশনা হবে ঈনশাআল্লাহ সেই নির্দেশনা আমি পালন করবো এটিও সত্যি কথা। আমি শুধুমাত্র ফরমটি তুলে রাখবো। যদি পবা-মোহনপুরে সেই সিচুয়েশন তৈরী করতে পারি এবং পবা-মোহনপুরবাসীর আস্থা ও বিশ^াস আমার উপরে থাকে তাহলেই আমি প্রার্থী হিসেবে দাড়াঁব। আর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও আমার নেত্রী যেই দিকনের্দশনা দিবে সেটিও আমি মাথা পেতে নেব।
এসয় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, পবা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তোফিক হাসান, মোহনপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এ্যাড শাহীন শাহ, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, কাটাখালি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম রিপন, নওহাটা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলী, সাধারণ সম্পাদক নবীবুর রহমান, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুনজিল, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন হোসেন, বাকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান,ধূরইল ইউপি চেয়াম্যান দেলোয়ার হোসেন, জাহানাবাদ ইউপি চেয়াম্যান হযরত আলী, রায়ঘাটি ইউপি চেয়াম্যান বাবলু রহমান, ঘাসিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বাবলু, বড়গাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসাইন সাগর, দর্শনপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাব্বির, পারিলা ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ, দামকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, কাটাখালি পৌরসভা যুবলীগের আহব্বায়ক জনি ইসলাম, নওহাটা পৌরসভা যুবলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম বারীক, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাহিনূল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপলু, মোহনপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন রনি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ, পবা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম রাজু সহ উপস্থিত ছিলো বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply