মিজান মাহী, দুর্গাপুর : সরকারী কাজে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ে এসেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম। এসময় জানতে পারেন কার্যালয়ের হলরুমে কৃষকদের মসলা বিষয়ক প্রশিক্ষণ হচ্ছে। তখনই ছুটে যান হলরুমে কৃষকদের মাঝে। এসেই কৃষকদের ক্লাস শুরু করে দেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে টার সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে গিয়ে তিনি প্রশিক্ষণরত কৃষকদের ক্লাস নেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০জন প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত কৃষকেরা জানান, ইউএনওকে আমরা পেয়ে আনন্দিত। তিনি আমাদের কৃষি কাজের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। কৃষিকে আধুনিকায়ন ও ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কৃষি কার্যালয়ে আসেন ইউএনও আব্দুল করিম। এ সময় হলরুমে প্রায় ৬০জন প্রান্তিক কৃষক মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের আওতায় দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ক্লাস নেওয়া শুরু করে দেন। তার ২০ মিনিটের ক্লাসে কৃষকেরা বিভিন্ন অজানা বিষয়ে জানতে ও শিখতে সক্ষম হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা আকস্মিক পরিদর্শনে এসে কৃষকদের ক্লাস নিয়েছেন। পাশাপাশি কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ধরনের কৌশলগত পরামর্শ প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, সরাসরি এক সঙ্গে প্রায় অর্ধশতাধিক কৃষকদের সঙ্গে বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত বিনিময় করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। কৃষকরাই আমাদের দেশের মূল চালিকা শক্তি। তারা ফসল উৎপাদন করে বলেই আমরা তা খেয়ে জীবন ধারণ করি। কৃষির আধুনিকায়ন নিয়ে কৃষকদের মাঝে কিছু কথা বলতে পেরে নিজেক আনন্দবোধ করছি। আমার ক্লাসে তারা যে আনন্দ পেয়েছে তাতে আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি।#
Leave a Reply