কাওসার হাবিব পত্নীতলা :কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড়, তাতেই ভাত।’ বাংলা সাহিত্যের আদিপর্বে সৃষ্ট এ ভূখণ্ডের কৃষিসম্পর্কিত বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতার রূপায়ন খনার বচনেও এভাবেই উঠে এসেছে কলা চাষের কথা। খনার এই বচনের সরল অর্থ এই— কলার আবাদ করলে ভাত-কাপড়ের অভাব পড়বে না। বছরের পর বছর খনার বচনটিই যেন প্রমাণ করে চলেছেন নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার কৃষকরা।
এই দিকে নওগাঁর পত্নীতলায় শীতের কারণে বাজারে কলা তেমন খাচ্ছেনা সে কারণে পাইকাররা আসতে না পারায় কলা বিক্রি করতে পারছেন না নওগাঁ পত্নীতলার কলাচাষীরা। স্থানীয় ভাবে কিছু কলা বিক্রি হলেও দাম কম। সেই সাথে প্রচুর সংখ্যক কলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কলাচাষীরা। কলা চাষের জন্য প্রসিদ্ধ নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা। এ উপজেলার বেশিরভাগ চাষীরই রয়েছে কলা বাগান। আর এবার ফলনও হয়েছে ভাল। কিন্তু শীত মৌসুমের কারণে বাজারে কলা তেমন খাচ্ছেনা তাই বাইরে থেকে পাইকাররা আসতে না পারায় কলা বিক্রি করতে পারছেন না উপজেলার কলাচাষীরা। সারি সারি কলা বাগানেই পেকে নষ্ট হচ্ছে কলা। পাখিতে খেয়ে ফেলছে বাগানের পাকা কলা।
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কলার যে কাঁদি ৫শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি হতো, স্থানীয় বাজারে সেই এক কাঁদি কলা বিক্রি করতে হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। এতে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষীরা। অনেক চাষী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কলা চাষ করেছেন। কলা বিক্রি করতে না পারায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা এখন তাঁদের জন্য বড় দায় হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে করে আগামী দিনে কলা চাষ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা দিয়ে কলা চাষীদের সহযোগীতা করার দাবী সচেতন মহলের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন