প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ২৪ আগষ্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘কেন্দ্রে নেতাকর্মীদের অভিযোগ আঁতাত করে বিত্তশালী বিএনপি নেতা মিজান’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।
এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই নিউজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার প্রয়াত মামা এমরান আলী মোল্লা তানোর বিএনপির সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মামার হাত ধরেই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে।
প্রায় ১৭ বছর ধরে বিগত ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের শত বাঁধা পেরিয়ে তানোর উপজেলায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। এসময়ে আমার বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা ও গায়েবি রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছে। এমনকি ৯ বার র্দীঘ মেয়াদে জেল খেটেছি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে আমার নিজস্ব পুকুর দখল এবং আমার বরেন্দ্র ক্যাবল ডিস লাইন বিভিন্ন জায়গায় দখল করে নিয়েছিলো তখনকার সরকার দর্লীয় নেতারা। আবার ২০১৫ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও বিএনপির আদর্শ ত্যাগ করিনি কখনো। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি গ্রেফতার আতঙ্কে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিটি নির্দেশনা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পালন করেছি।
তিনি আরও বলেন, তানোরে আঁতাতের রাজনীতি করে যারা এতোদিন চলেছে, তাঁরা আজ আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভীত্তিহীন কথাবার্তা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিপ টিউবওয়েল দখল ও টাকা উত্তোলন, পুকুর দখল, ডিস লাইন দখল এবং ভাংচুর সহ আমার যে দর্লীয় পদের কথা উল্লেখ করা আছে তাও ভুল এবং আমার পরিবার সর্ম্পকে যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তাও ভুল বলা হয়েছে।
মূলত আমার এখন পর্যন্ত যা কিছু অর্জন সবগুলো নিজের মেধা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে করেছি। কিন্তু সম্প্রতি দলের স্থানীয় পর্যায়ের সাবেক কয়েকজন নেতা মিথ্যা অভিযোগ লিখে কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে। অন্যদিকে, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিলো বলে আমি মনে করছি।
প্রকাশিত সংবাদটি অসত্য, ভিত্তিহীন ও মনগড়া সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাপানো হয়েছে, যা একটি কুচক্রী মহল আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রয়াসমাত্র। আমিসহ স্থানীয় নেতাকর্মী প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply