নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তানোর উপজেলা ও পৌর শাখা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে তানোর পৌরসদর এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে, উপজেলা পরিষদ হলরুলে দলটির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী উদযাপনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান, তানোর পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক একরাম আলী মোল্লা সহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের তানোরের সাত ইউপি ও দুই পৌর এলাকার প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে প্রধান অতিথি আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে দলের উচ্চপর্যায়ে বরাবর ভুঁইফোড় কয়েকজনের স্বাক্ষর উল্লেখ করে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এবং তাঁর সূত্র ধরে গত ২৪ আগষ্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ভিতরের পাতায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মনগড়া একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বিগত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা নির্মম নির্যাতনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান। তিন মেয়াদে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মিজানের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছিল। এমনকি ৯ বার র্দীঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর এবং দখল করেও নিয়েছিলো তখনকার সরকার দর্লীয় নেতারা। আবার ২০১৫ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তানোর পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে সে-সময়ে জেলে পাঠানো হয়েছিলো তাঁকে।
তানোর পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক একরাম আলী বলেন, মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বিএনপির আদর্শ ত্যাগ করিনি কখনো। রাতের পর রাত তিনি বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি গ্রেফতার আতঙ্কে। হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিটি নির্দেশনা শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও সফলভাবে পালন করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম এ সদস্য। এমনকি ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী ও স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত হওয়া সফল আন্দোলন জোরদার করতে গিয়ে গত ১৭ জুলাই তারিখে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে হয়েছিল এবং ৬ আগষ্ট তাঁকে জেল থেকে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে। এতকিছুর পরও তানোর উপজেলায় প্রায় ১৭ বছর ধরে নিস্ক্রিয় ও সুবিধাবাদী সাবেক বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তানোর-গোদাগাড়ী আসনের বিএনপির জনপ্রিয় এ ত্যাগী নেতা মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভীত্তিহীন কথাবার্তা রটিয়ে বেড়াচ্ছে ও সাংবাদিক নামধারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে তাঁরা।
বিএনপি নেতা একরাম আলী মোল্লা আরও বলেন, মিজানুর রহমান মিজানের জম্মস্থান তানোরে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে টানা আটদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রেসক্লাবে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়। মূলত মিজানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে নেমেছে দলের সাবেক হাতেগণা স্থানীয় কয়েকজন নেতারা। দর্লীয় নেতাকর্মীরা ওই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেছে।
এ সময়ে তানোর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ অন্যান্য অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, গোদাগাড়ী উপজেলার ডাইংপাড়া বিএনপির দর্লীয় কার্যালয়ের সামনে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময়ে গোদাগাড়ী উপজেলা ও পৌর শাখা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতশত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।#