মান্দা প্রতিনিধি :নওগাঁর মান্দায় একটি ইসলামী মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে মারধরসহ বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে।
আজ রোববার দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী মাহফিলের আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। গত ২৭ নভেম্বর রাতে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের ডিপবাজার এলাকায় আয়োজিত মাহফিলে এ ঘটনা ঘটানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রসাদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মতলেবুর রহমান।
বিএনপিনেতা মতলেবুর রহমান বলেন, প্রসাদপুর ইউনিয়নের ডিপবাজার এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলামী মাহফিলের আয়োজন করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু এবারে এলাকার সর্বস্তরের লোকজনকে সম্পৃক্ত না করেই কতিপয় ব্যক্তি যুব সমাজের ব্যানারে মাহফিলের আয়োজন করে। এতে এলাকার লোকজন দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে।
মতলেবুর রহমান আরও বলেন, এসব বিষয় নিয়ে গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে ইউএনওর অফিস কক্ষে ইউএনও শাহ আলম মিয়া ও মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। সভায় একত্রে মাহফিল সমাপ্ত করার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনায় মাহফিল চলাকালে রাত ৭টার দিকে একটি চায়ের ষ্টলে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীদের মারধরে ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মতলেবুর রহমান, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মানিক শাহ, কৃষকদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মান্নানসহ চারজন আহত হন। এদের মধ্যে যুবদলনেতা মানিক শাহকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
যুবদলনেতা মানিক শাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে আয়োজক কমিটির লোকজন বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় হামলার শিকার আব্দুল মান্নানের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।’
মানিক শাহ আরও বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে প্রধান অতিথি না করায় মাহফিল ভণ্ডুলের যে অভিযোগ আয়োজক কমিটি করেছে তা সঠিক নয়। চেয়ারম্যান মতিনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এমন চক্রান্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে আয়োজক কমিটির ষড়যন্ত্রমুলক সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মিজানুর রহমান।
বার্তা সম্পাদক : বকুল হোসেন, সহ-বার্তা সম্পাদক : সৈয়দ মাহমুদ শাওন