1. admin@rajshahitribune24.com : admin :
  2. rajshahitribune192@gmail.com : editor man : editor man
মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে তানোরে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন - Rajshahi Tribune24 | রাজশাহী ট্রিবিউন২৪
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে তানোরে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,তানোর : রাজশাহীর তানোরে দলীয় কোন্দল সৃষ্টির চেষ্টা এবং রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র বারবার কারা নির্যাতিত জননেতা মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় তানোর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

তানোর উপজেলা ও মুন্ডুমালা এবং তানোর পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তানোর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান হান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে আখেরুজ্জামান হান্নান বলেন, শুরুতেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধে বীর শহীদদের এবং সদ্য সমাপ্ত ২৪- এর ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করছি। আপনারা অবগত আছেন যে, গত ৫ আগষ্টে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শাসনামল থেকে রাজশাহীর তানোর উপজেলাসহ পুরো বাংলাদেশ মুক্তি লাভ করে। বিগত দিনে, এই তানোর উপজেলায়সহ রাজশাহী জেলা জুড়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্যে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন যে কয়জন, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বর্তমান রাজশাহী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও বারবার কারা নির্যাতিত নেতা জনাব মিজানুর রহমান মিজান।

তিনি প্রায় ১৭ বছর ধরে বিগত ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের শত বাঁধা পেরিয়ে তানোর উপজেলা ও জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। এসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৭টি মিথ্যা ও গায়েবি রাজনৈতিক মামলা করা হয়েছিল। এমনকি ৯ বার দীঘ মেয়াদে জেল খেটেছেন তিনি। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে খায়েল করতে না পেরে তার নামে থাকা পুকুর দখল ও তাঁর বরেন্দ্র ক্যাবলা ডিস লাইন বিভিন্ন জায়গায় দখল করে নিয়েছিলো তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় নেতারা। আবার ২০১৫ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শতপ্রতিক‚লতা মাড়িয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে তখন জেলে পাঠানো হয়েছিলো। মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও তিনি বিএনপির আদর্শ ত্যাগ করিনি কখনো। রাতের পর রাত বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি গ্রেপ্তার আতঙ্কে। তবুও হরতাল-অবরোধ কর্মস‚চি ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিটি নির্দেশনা শত প্রতিক‚লতা স্বত্তেও সফলভাবে পালন করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।

সংবাদ সম্মেলনে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, বিগত ৫ আগষ্টের আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এবং আন্দোলন দমাতে পুনরায় রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। তবে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং তানোর উপজেলা ও পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক সকল ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখেন। জেলা বিএনপির সদস্য মিজানের রাজনৈতিক দ‚রদর্শিতার কারণে প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার আমিনুল হকের ভাই বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনকে সামনে রেখে তানোর উপজেলার দুই পৌরসভা ও সাত ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে মান অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধ করতে থাকেন। ঠিক এমন সময়ে গুটিকয়েক দলছুট ও সুবিধাবাদীরা মিলে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুর পর হঠ্যাৎ করে প্রায় ১০/১৫টি বিলাশবহুল মাইক্রো গাড়ি ভর্তি বহিরাগতদের নিয়ে তানোরে আসেন ব্যবসায়ী ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য সুলতানুল ইসলাম তারেক। আর তাদের অচমকা উপস্থিতি দেখে তানোর উপজেলা ও পৌর বিএনপির ম‚ল ধারার একাধিক নেতারা তাদের এভাবে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠেন।

এমতাবস্থায় উপস্থিত কয়েকজন নেতাদের সাথে তাদের কথাকাটিও হয়। তারপর তারা থানা মোড়ে হঠ্যাৎ করে ফিল্মি স্টাইলে পথসভা করে চলে যায়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সুলতানুল ইসলাম তারেক নামে ওই ব্যবসায়ী নেতা নাকি এই আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন কিনে আনবে এবং ভোট করবে। আর সে জন্যই তিনি এরআগেও সহ ১৫ ডিসেম্বর পুনরায় শোডাইন করতে এখানে এসেছিলেন এবং তিনি নাকি বাধাইড় একটি ইসলামি জালসায় যাচ্ছিলেন। তবে এঘটনার দু’দিন পর আবারও হঠাৎ করে রাজশাহীর একটি রেস্তোরাঁয় জমকালো ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র বারবার কারা নির্যাতিত জননেতা জনাব মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্য ও অপপ্রচারের চালানো হয়। ম‚লত ওই সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার যে দিন উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান তাঁর ব্যবসায়ীক ও দর্লীয় জরুরি কাজে ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন। আবার তাঁর ভগ্নপতি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীবকে নিয়ে ও তাঁর দর্লীয় যে পদ উল্লেখ করা হয়েছে তাও সঠিক নয়। ম‚লত গুটিকয়েক দলছুট ও নিস্ক্রিয় নেতাদের মোটা টাকার বিনিময়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে বসিয়ে তাঁদের দিয়ে মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আখেরুজ্জামান আরও বলেন, তানোরে আঁতাতের রাজনীতি করে যারা এতোদিন চলেছে, তাঁরা আজ আমাদের তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কাছে অনৈতিক সুবিধা করতে না পেরে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও ভীত্তিহীন কথাবার্তা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া ১৭ ডিসেম্বর রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ডিপ টিবওয়েল দখল ও টাকা উত্তোলন, পুকুর দখল, ডিস লাইন দখল যে সকল কথা উল্লেখ করা আছে তা সবকিছু ভুলে ভরা। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, গতদিন (১৭ ডিসেম্বর) যারা ওই সম্মেলন করেছে , তারাই আবার চলতি বছরের আগষ্ট মাসে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র বারবার কারা নির্যাতিত জননেতা জনাব মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারের এসব ঘটনা মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছিল। অথ্যাৎ, তাঁদের সাথে থাকলে সঙ্গী আর না থাকলেই অপপ্রচার।

তাই আমরা তানোর উপজেলা, তানোর ও মুন্ডুমালা পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরর নেতাকর্মী আজ তানোর উপজেলা বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির নিকট আকুল আবেদন এই মিথ্যা ও অপপ্রচার কারীদের নির্দেশ দাতা সহ সহযোগিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কারের জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী, তানোর পৌর বিএনপির আহবায়ক একরাম আলী মোল্লাসহ তানোর উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © 2022 রাজশাহী ট্রিবিউন ২৪
Theme Customized By Shakil IT Park
error: Content is protected !!