তাদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন যাঁরা করোনা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের বেশির ভাগ করোনার টিকা নেননি বা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি।’
এখন পর্যন্ত দেশে ২০ লাখ ৭ হাজার ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন। বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
আজ দেশের টিকা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাতে যে টিকা আছে, সেগুলোর মেয়াদ তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে। তাই যাঁরা টিকা নেননি তাঁরা প্রথম ডোজ, যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ এবং যাঁরা বুস্টার নেননি তাঁরা বুস্টার নিয়ে নিন।’
স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।
Leave a Reply