নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছেন কামরুজ্জামান মিয়া। মাদকের আখড়া বলে পরিচিত থানা এখন অনেকটাই মাদক ও অপরাধমুক্ত। ইতোমধ্যে রাজশাহী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কর্মদক্ষ ওসি তার কাজ দিয়ে বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। প্রাথমিক অবস্থায় দালালদের সতর্ক করে থানায় তদবিরের জন্য না আসতে বলে দিয়েছেন তিনি। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না থানায়।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি তানোর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন কামরুজ্জামান মিয়া। তার যোগদানের পরই পাল্টে গেছে থানার দৃশ্যপট। থানার ভেতরে বাইরে পরিবর্তন লক্ষণীয়। হাট-বাজারেও অপরাধ কমেছে।
তানোর সদরের অর্কিড স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এরফান আলী বলেন, তানোর থানার বর্তমান কাজ দেখে মনটা ভরে যায়। পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যায়।
তানোর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি বকুল হোসেন মাস্টার বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে এ ওসির ভূমিকা প্রশংসনীয়। এখন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় না। পুলিশেও এখন ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এটা একদিকে যেমন দেশ ও জনগণের কল্যাণ হবে তেমনি পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ভালোবাসা বেড়ে যাবে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব জনগণের জান-মাল হেপাজত ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। এ থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ জন্য তিনি সংবাদকর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ওসি আরও বলেন, সেবা প্রার্থীদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন এই থানায় আছি জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
Leave a Reply