মেহেদী হাসান,, পত্নীতলা:মাছে-ভাতে বাঙালি’ আমরা। মাছ ছাড়া যেনো কোন তরকারির চিন্তাই করা যায় না। সব সবজির সাথে মাছ মিশায়ে রান্না করা যায়। কিন্তু নওগাঁর পত্নীতলায় হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার চাষের মাছ। ফলে দাম বেশি হওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতা ও জনসাধারণ।মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের দাম দুইশো টাকারও উপরে প্রতি কেজি। মাছ চাষীরা যে দামে মাছ বিক্রি করছেন, তার চেয়ে কেজি প্রতি ৫০-৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা সদর পত্নীতলা কাঁচা বাজারের কয়েকজন খুচরা মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপকালে তাঁরা বলছেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে তাঁরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’
এদিকে মাছের খামারিরা বলছেন, ‘মাছের খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, বিদ্যুৎ খরচ ও মজুরির বাড়তির জন্য মাছর দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের নিকট মধ্যসত্ত্বভোগীরা কম দামে মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতারাও সেজন্য বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হন।’
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাঝারি আকারের কাতলা ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে এবং পাঙ্গাস ১৬০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি, ‘সুষ্ঠু ও কঠোর বাজার তদারকির অভাবে যে যেভাবে পারছে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে
Leave a Reply