মিজানুর রহমান, তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলার ঝিনাখোর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘড়ির কাঁটায় বেলা তখন সাড়ে ৩টা। স্কুল ছুটির ঘন্টা বাজার মুহূর্ত্বে আরম্ভ হয় ঝুমঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আটকা পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষাথীরা ক্লাস রুমে ও বাকিরা বারান্দায় বসে ছিল। ঠিক সে মুহূর্ত্বে বিকট শব্দে আকস্মিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে আহত হন চার শিক্ষার্থী। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে পাশের এলাকায় অবস্থান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
অবস্থা বেগতিক দেখে গুরুত্বর আহত ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাবিবা খাতুনকে নিজ গাড়িতে তুলে নিয়ে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ইউএনও। এছাড়া ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন ইভা, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম এবং ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী জুই নামে আহত বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দেন ইউএনও পংকজ চন্দ্র।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, এই বিপদে ইউএনও সাহেব নিজে গাড়ি চালিয়ে অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তাঁর প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, নিজে গাড়ি চালিয়ে আহত শিশু হাবিবাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি। মূলত সেবা করার ব্রত নিয়ে চাকরি করছি। আর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।
তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়া জানান, আহত দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা এখন ভালো আছেন।
Leave a Reply