নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোর ও সীমান্ত ঘেঁষা নাচোলে একটি দলছুট হাতির আক্রমণে শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন, রামপদ (৩৮) ও মোবাসশির (১৩)। নিহত রামপদর বাড়ি তানোর উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামে। আর মোবাসশিরের বাড়ি নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির লক্ষিপুর মোড় এলাকার মানিকপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালের দিকে নাচোল উপজেলার লক্ষিপুর এলাকায় একটি পাগলা হাতির আক্রমণে মোবাসশির নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। পরে ওই হাতিটি আমনুরার দিক থেকে জনতার ধাওয়া খেয়ে ধানী মাঠ দিয়ে সীমান্ত ঘেঁষা তানোর উপজেলার ধামধুম ফসলি মাঠে আসে। সেসময় ওই এলাকায় ধানের জমিতে কিটনাশক স্প্রে করছিলেন কৃষক রামপদ। তাকে আছড়ে মাটিতে ফেলে দেয় হাতিটি। স্থানীয়রা মাটিতে পড়ে থাকা কৃষক রামপদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশাপাশি দু’টি গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
তবে রাজশাহী বিভাগীয় বন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে বন বিভাগের লোকজন বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও তানোর উপজেলার জুমারপাড়া বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ থেকে ওই হাতিটিকে ধরতে পারিনি। সকালে ঢাকা থেকে বন বিভাগের হাতি ধরার প্রশিক্ষিত লোকেরা এসে হাতিটি ধরার ঘোষণা দেন তাঁরা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদা সিফাত, তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াজেদ হোসেন, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুমন মিয়া. প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটি এম কাওছার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তানোর স্টেশনের লিডার মিজানুর রহমান, মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাতিটি ধরতে না পারা পর্যন্ত স্থানীয়দের সর্তক থাকার পরামর্শ দেন ইউএনও বিল্লাল হোসেন। পরে তিনি ওই জুমারপাড়া গ্রামের নিহত রামপদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে লাশ দাফনের জন্য মৃত রামপদের পরিবারের সদস্যদের হাতে নগদ ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন এবং গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।#