অল্প পরিসরে যদি লিখে ফেলা যেত ছোট্ট উপাখ্যান,
হয়তো, তবে নিঝুম রাতে ছুটতো না গতিহীন গাড়ির সমাধি।
ফিরে আসতো নীর ছাড়া ছোট্ট বাবুই পাখি,
ভোরের আকাশে, রক্তিম সূর্য নিস্তব্ধ থেকে বলে যেত অনেক কথা।
অপেক্ষা করতো না, স্টেশনে থেমে থাকা ট্রেন,
দরজার পাশে দাড়িয়ে, কথা বলতো না অজানা পথের দুই অচেনা পথিক।
ভাসতো না ,নদীর বুকে পাল ছাড়া নৌকায়
মিশতো না ,দুই পারের দুরকম মাটি,
নিয়মের বেড়াজালে সবই হলো।।
যদি, খুব কম শব্দে, একটা উপন্যাস লিখে ফেলা যেত
তবে হয়তো চশমটা ভাঙতো না হঠাৎ করে!
এতটা কাকতালীয় হতো না, সেদিনের অন্ধকার রাত।
হঠাৎ! ফিরে দেখতো না বসে থাকা ভাগ্য দেবতা,
হয়তো সেই চাওয়াটাই পূর্ণ হলো,তার জন্যে যা ভালো তাই করো
সহাবস্থান যদি স্পর্শকাতর না হয়,
হাত টা পালটানোই শ্রেয়।
সফল ভাগ্য দেবতা!
নিয়মের বেড়াজালে সবই হলো ।
এক রাতে যদি ,গুনে ফেলা যেত আকাশে অসংখ্য অগণিত তারা
তবে হয়তো সপ্তর্শিমন্ডল একটু ফিকে হয়ে যেতো
কৃত্তিকার মাঝ খানে থেকে আলাদা থাকতো ধ্রুবতারা
নির্দয় ,পাষাণ, পাথর ও বলতো একটা ফুল তো আমার ও প্রাপ্য
না!ফোটেনি ফুল,রঙিন হয় নি পাথর পৃষ্ঠ।
ক্ষনিকের মেঘ কেটে গেলেও সাত রঙা রামধনুর দেখা মেলে নি।
নিয়মের বেড়াজালে অল্প অল্প করে সবই হলো।
ক্ষনিকেই যদি পারি দেওয়া যেত বিশাল দূরত্ব
মনে হয় না তখন দূরত্ব বাধা হতো।
তাই কি?
না ,দূরত্বটা পথে না মনের হয়তো।
মনের দূরত্ব কি আদেও মেটানো সম্ভব?
মেটে না কখনো ।
মিটলে হয়তো স্বপ্ন গুলো সত্যি হতো,
অক্ষরে অক্ষরে পাওয়া হয়ে যেত সব চাওয়া।
হয়তো চাইতে নেই, হয়তো পাইতে নেই
কিন্তু কি আশ্চর্য নিয়মের বেড়াজালে সবই হলো।
রাত বাড়লে অনুভূতি নাকি অনেক সজাগ হয়।
হচ্ছে?..
রাত তো বেড়েই চলেছে…
Leave a Reply